সাধারণ সর্দি-জ্বরের সঙ্গে নিউমোনিয়ার কিছু পার্থক্য থাকে। এ জন্য একটু লক্ষ্য রাখলেই রোগ নির্ণয় করা সহজ

বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ লাখের মৃত্যু হয়। ৫ বছরের কম বয়সের শিশু ও বৃদ্ধই নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হন এবং শিশুরা বেশি মারা যায়।

ফুসফুস বা শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত জটিল রোগ নিউমোনিয়া। ফুসফুসের বিভিন্ন জীবাণু যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি সংক্রমণের ফলে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশি এসব উপসর্গ দেখা দেয়।

বারবার ঠান্ডা লাগা, বুকে শ্লেষ্মা জমে থাকার কারণে নিউমোনিয়া হয়। ঠান্ডা লাগলেই যে সবার নিউমোনিয়া হবে, তা কিন্তু নয়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, মূলত বয়স্ক ও শিশুরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।

যেভাবে বুঝবেন নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো

সাধারণ সর্দি-জ্বরের সঙ্গে নিউমোনিয়ার কিছু পার্থক্য থাকে। এ জন্য একটু লক্ষ্য রাখলেই রোগ নির্ণয় করা সহজ। নিউমোনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ অতিরিক্ত জ্বর। ওষুধে জ্বর নামলেও আবার ওষুধের প্রভাব কাটলেই বেড়ে যায় জ্বর। ১০৩-১০৫ ডিগ্রি উঠতে পারে জ্বর। এর সঙ্গে বমি, শ্বাসকষ্ট বা দম নিতে কষ্ট হওয়া, বুকে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ থাকতে পারে।

কখনো কখনো তীব্র মাথাব্যথা, ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়া, খাওয়ায় অরুচিও নিউমোনিয়ার লক্ষণ। অবস্থা গুরুতর হলে কাশির সঙ্গে রক্তও উঠতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত নেওয়া, শ্বাস গ্রহণের সময় বাঁশির মতো শব্দ হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্টবোধ বা কষ্টকর শ্বাস-প্রশ্বাস, বুকের খাঁচা দেবে যাওয়া, বুকে ব্যথা, খেতে না চাওয়া বা খেতে না পারা, শিশুর চঞ্চলতা কমে যাওয়া বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, বমি করা ইত্যাদি।